পর্যালোচক: পার্থ দাস

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যাপারটি খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক।
– হুমায়ূন আহমেদ (অপেক্ষা)

অপেক্ষা হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসের মতোই এ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপটও একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরে। উপন্যাসটিতে একইসাথে মধ্যবিত্তের টানাপোড়েন এবং প্রিয় মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

অপেক্ষা কি কখনো সুখকর হয়?
বই পুস্তকে, প্রবাদ প্রবচনে আমরা যে পড়ে থাকি, ‘অপেক্ষা ফল সুমিষ্ট হয়’
বাস্তবে কি তাই হয়? অপেক্ষা কখনো সুখ নিয়ে আসে, কখনো জীবনকেই করে তুলে অস্বাভাবিক।

সুরাইয়া হাসানুজ্জামের স্ত্রী। রাত বারোটা। এখনো বাসায় ফিরেনি তার স্বামী। শুরু হয় সুরাইয়ার অপেক্ষা। সারা রাত ধরে অপেক্ষা করে। এরপর থানা পুলিশ করেও হাসানুজ্জামানের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। হাসানুজ্জামানের নিখোঁজ হওয়াটা সুরাইয়ার জীবনকে এলোমেলো করে দেয়। তার আদর থেকে বঞ্চিত হতে হয় তার মেয়ে সুপ্রভা ও তার ছেলে ইমনকে। সে অপেক্ষা করতে থাকে তার স্বামীর জন্য। তার বিশ্বাস তার ছেলে ইমনের বিয়ের দিন তার স্বামী ফিরে আসবে। ইমনের বিয়ে হয়। মাঝখানে অনেক অনেক ঘটনা ঘটে যায়। ইমনের বিয়ের রাতে কি ফিরবে সুরাইয়ার স্বামী? তার সব অপেক্ষার অবসান হবে কি? ইমনের বিয়ের রাতে কলিং বেল বেজে উঠল। সুরাইয়ার হাত পা জমে গেল। মানুষটা কি এসেছে। নাকি তিনি ভুল শুনেছেন।
না ভুল তো না। এই তো আবারো বেল বাজল। এই তো আবারো। কে এসেছে কে?

ফ্ল্যাপে লেখা কথা:

মানুষে জীবন কি চক্রের মতো? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই। মানবজীনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই। চক্র ঘুরছে।
এই চক্রের ভেতর ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই। কিসের অপেক্ষা?

Comment (1)

Leave A Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *