হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘বহুব্রীহি’ উপন্যাসটি তিনি মজার উপন্যাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আসলেই কি তাই? এটি ১৯৯০ সালে ১ম প্রকাশিত হয়।
“যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই।”(বহুব্রীহি)
উপন্যাসের মূল চরিত্র এর তালিকায় কেউ নেই। সবারই কম বেশি গল্পে ভূমিকা আছে , কিন্তু , সোবাহান সাহেব, ফরিদ, আনিস ও ডাক্তার মনসুর এর সাধারণ জীবনকে কেন্দ্র করে মূলত উপন্যাসটি লেখা। তাদের প্রত্যেকের জীবন ও জীবনকে দেখার ভঙ্গি আলাদা হলেও ঘটনাক্রমে তাদের একে অপরের সাথে দেখা হয় ও কীভাবে তারা নিজেদেরকে একে অপরের সাথে জড়িয়ে ফেলে তা নিয়েই মূলত এই গল্পটি।
গল্পের শুরু হয় সোবাহান সাহেবকে নিয়ে তার অবসরপ্রাপ্ত জীবন কাটিয়ে দেন নানান বিষয় চিন্তা করে। উঁচু দেয়ালে ঘেরা পুরানো ধরনের বিশাল দোতলা বাড়ি। বাড়ির সামনে এবং পেছনে গাছ গাছালিতে জঙ্গলের মতো হয়ে আছে। কিছু কিছু গাছের গুড়ি কালো সিমেন্টে বাঁধানো। বাড়ির নাম নিরিবিলি, শ্বেতপাথরে গেটের উপর নাম লেখা, অবশ্যি ‘র’ এর ফোঁটা মুছে গেছে। পাড়ার কোনো দুষ্টু ছেলে হারিয়ে যাওয়া ফোঁটাটা বসিয়ে দিয়েছে ‘ব’ এর উপর। এখন বাড়ির নাম ‘নিবিরিলি’। (বহুব্রীহি )
সাধারণ জীবনের মধ্যেও যে অদ্ভুত অনেক কিছু রয়েছে তা কি আমরা জানি? এসবের অনেক কিছুই উঠে এসেছে বহুব্রীহি উপন্যাসে। আগ্রহী পাঠকেরা সবকিছু জানতে চাইলে পড়তে হবে ‘বহুব্রীহি ‘ বা এই নান্দনিক উপন্যাসটি আমার অনুভব করতে পারি বাংলাদেশ টেলিভিশন এর আর্কাইভ থেকে।
পর্যালোচক : শামস আল ইসলাম
Ashraful Azim Antor
June 4, 2024♥️♥️